‘নজরুলকে বৈশ্বিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে’

প্রতিনিধি | সমালোচনা

শুক্রবার ৩১ আগস্ট ২০১৮|১০:২৩:৩৪ মি.



সৃজনবাংলা ডেস্ক: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমি কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্বাগত ভাষণ  দেন বাংলা একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। ‘নজরুলকাব্যে মিথিক-ঐতিহ্যিক প্রতিমা : ফিরে দেখা’ শীর্ষক একক বক্তৃতা প্রদান করেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে সাহিত্যসৃষ্টির পরিসর পর্যন্ত নজরুল বিরল এক অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্বের নাম। আমাদের দুর্ভাগ্য তার মতো অনন্য প্রতিভাকে এখনো আমরা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারিনি। এখন সময় এসেছে সব ধরনের সংকীর্ণতামুক্ত হয়ে নজরুলকে তার যথার্থ বৈশ্বিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করা।

অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সমন্বয়বাদী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বার্থক উত্তরাধিকার। ‘প্রলয়োল্লাস’ এবং ‘বিদ্রোহী’তে তিনি যে নিপুণভাবে ঐতিহ্য ও মিথের ব্যবহার করেছেন তা সত্যি বিস্ময়কর। ইসলামী ঐতিহ্য, হিন্দু এবং গ্রিক মিথের স্বচ্ছন্দ ব্যবহারের সমান্তরালে নজরুল-কাব্যে খ্রিস্ট ও বৌদ্ধ ঐতিহ্যেরও গভীর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। 

তাঁর কাব্যে ও অন্যান্য রচনায় মিথের ব্যবহার কোনো খণ্ডিত সত্যকে প্রতিষ্ঠা করে না বরং সামগ্রিকভাবে বিশ্ব মানবমঙ্গলের আহ্বান ধ্বনিত করে।  সাংস্কৃতিক পর্বে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মো. রফিকুল ইসলাম। নজরুল সংগীত  পরিবেশন করেন শিল্পী ডালিয়া নওশীন এবং মাকসুদুর রহমান মোহিত খান।

পাঠকের মন্তব্য Login Registration