‘মার্ডার’ করা হয়েছে তাপস পালকে, অভিযোগ স্ত্রীর

প্রতিনিধি | বিচিত্র জগত

শুক্রবার ৬ মার্চ ২০২০|১০:০৮:৩৯ মি.



গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের বান্দ্রার এক হাসপাতালে মারা যান অভিনেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ তাপস পাল। আর তার এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বরং তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী নন্দিনী পাল।
বুধবার ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এমনটাই জানিয়েছেন তার স্ত্রী নন্দিনী পাল। তিনি বলেন, মুম্বাইয়ের সেই হাসপাতালে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর ন্যায়বিচার চাইতে মুম্বাইয়ে এসেছি।

নন্দিনীর দাবি, গত ১ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ তাপসকে তিনি বান্দ্রার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাপসের অসুস্থতার সম্পর্কে বলতে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তা শুনতে রাজি হননি। উল্টা বলেন, রোগীর ‘পাস্ট হিস্ট্রি’ শুনতে তিনি উৎসাহী নন। অভিযোগ, অসুস্থ তাপস পালকে দেখে ওই চিকিৎসক নন্দিনীকে প্রশ্ন করেন, আপনি কেন ওকে হাসপাতালে এনেছেন?” এমনকি ৫০ হাজার টাকা জমা না করলে তাপসের চিকিৎসা শুরু করা হবে না বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয় বলে নন্দিনীর অভিযোগ। কিন্তু মাঝরাতে তার কাছে অত টাকা না থাকায় মেয়ের বাড়িওয়ালার সাহায্যে টাকার বন্দোবস্ত করে তাপসকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয় বলে দাবি করেন তিনি!

নন্দিনীর দাবি, ৭ ফেব্রুয়ারি তাপস পালের ভেন্টিলেশন খুলে দেয়া হয়। তাপস তখন একেবারেই সুস্থ ছিলেন বলে দাবি করে তার স্ত্রীর। সেদিন তার নন্দিনীর দিকে তাকিয়ে হেসেছিলেন তাপস পাল। 

এরপর থেকেই সমস্যা শুরু হয় বলে অভিযোগ করে নন্দিনী জানান, ঠিকমতো খেতে দেয়া হত না তাপস পালকে। নার্সরা ক্যাফেটেরিয়া থেকে খাবার এনে খাওয়াতে বলত। এ নিয়ে তার মেয়ের সঙ্গে এক দিন নার্সদের ঝামেলাও হয়ে বলে অভিযোগ করেন নন্দিনী। 

তার আরো দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ফের অসুস্থ হয়ে যান তাপস পাল। আমার সম্মতিতেই ডায়ালিসিস শুরু হয়। তাপস পালের প্রস্রাব স্বাভাবিক হওয়া সত্ত্বেও তাকে ক্যাথিটার পরিয়ে রাখা হয়।

পুরা ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছেন নন্দিনী। তিনি বলেন, তাপসের সম্পর্কে এত অন্যায়, এত ভুল কথা শুনতে হয়েছে যে, মেয়ে এবং আমি আর পেরে উঠছি না। তবে এই মৃত্যুর বিচার আমি চাইবই। ছাড়ব না।

পাঠকের মন্তব্য Login Registration