বুলবুল ছিলেন মেধাবী সঙ্গীত পরিচালক: রুনা লায়লা

প্রতিনিধি | সমালোচনা

বুধবার ২৩ জানুয়ারী ২০১৯|১৪:২২:৩০ মি.



সৃজনবাংলা ডেস্ক: পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। মঙ্গলবার আফতাব নগরের বাসায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ১৯৭০ দশকের শেষ দিক থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশের চলচ্চিত্র শিল্প ও সঙ্গীতে সক্রিয় ছিলেন তিনি।

বহু জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা আহমেদ ইমতিয়াজ। ‘মেঘ বিজলি বাদল’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনা দিয়ে  ১৯৭৮ সালে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন তিনি। 'গানের পাখি' রুনা লায়লাকে নিয়েও করেছেন একটি অ্যালবাম। তাই বুলবুলকে নিয়ে রুনা লায়লার রয়েছে অনেক স্মৃতি। সেই স্মৃতি হাতড়ে  রুনা লায়লা বলেন, ''বুলবুলের সুর সঙ্গীতে আমার প্রথম গান ছিলো ‘ও বন্ধুরে প্রাণও বন্ধুরে, কবে যাবো তোমার বাড়ি পিন্দিয়া গোলাপী শাড়ি’। গানটি সেই সময় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এরপর আরও অনেক গান গেয়েছি তার সুর সঙ্গীতে। বুলবুল নিজে গান লিখতেন। তাই তার প্রতিটি গানের সুর সঙ্গীতায়োজন একটু অন্যরকম হতো; যা শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যেতো। বুলবুল নিজের সুরে আমার একটি অ্যালবামও করেছিলেন। শিল্পীকে স্বাধীনতা দিয়ে কাজ করাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন বুলবুল। গান বুঝিয়ে দিয়ে শিল্পীকে নিজের মতো করে গাইতে বলতেন। যে কারণে শিল্পী অনায়াসে গান গাইতেন।''

রুনা আরও বলেন, ''প্রয়াত চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শিল্পী’ সিনেমাতে আমি অভিনয় করেছি। ওই সিনেমাতে একটি উর্দু গান ছিলো 'তেরি জুলফে'। এর একটি ভার্সনে কন্ঠ দিয়েছেন সুবীর নন্দী ও শাকিলা জাফর। আরেকটি ভার্সনে আমি গেয়েছিলাম। গানটির সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন বুলবুল। এটা সত্যিই অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল একজন মেধাবী সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন। তার অকালে চলে যাওয়ায় সত্যিই আমাদের সঙ্গীতাঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো। বুলবুলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। একই সঙ্গে আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসীব করেন সেই দোয়া করি।'' 

পাঠকের মন্তব্য Login Registration