সিনেমাগুলো দেখার গল্পের সঙ্গে আমার আবেগও জড়িয়ে আছে

প্রতিনিধি | সমালোচনা

শুক্রবার ১১ জানুয়ারী ২০১৯|১৫:৩৩:৩১ মি.



অদিতি মহসিন। রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। তিনি লিখেছেন তাঁর প্রিয় ৫ বিষয়ে। 

১. প্রিয় বই
নিত্যসঙ্গী রবীন্দ্রনাথের সংগীতচিন্তা বই পড়তে খুব ভালো লাগে আমার। কত বই যে প্রিয়! তবে তার মধ্যেও সবচেয়ে বেশি প্রিয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংগীতচিন্তা। সংগীতবিষয়ক লেখার পাশাপাশি অনেক রাগ-রাগিণীর কথা, আলাপচারিতা আছে এখানে। আছে আইনস্টাইন, রোমারোলা ও দীলিপ কুমার রায়ের কথোপকথন। এই বইটি শান্তিনিকেতনে আমার পাঠ্য ছিল। কিন্তু এর পরেও যখন এটি পড়েছি, একই রকম ভালো লেগেছে।

২. প্রিয় মঞ্চনাটক
নাটক দেখতে বসে দেখলাম, তাঁরা প্রত্যেকেই অসাধারণ করছেন।

একসময় প্রচুর নাটক দেখতাম আমি। এখন আর সেভাবে সুযোগ হয়ে ওঠে না। তবে সম্প্রতি নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের গ্যালিলিও নাটকটি দেখলাম। এ প্রযোজনা দেখে আমি বিস্মিত। আলী যাকের ও আসাদুজ্জামান নূরের অভিনয় মনে গেঁথে থাকার মতো। কিন্তু প্রিয় নাটকের নাম বলতে হলে বলব নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়েরই আরেকটি নাটক রক্তকরবীর কথা। রক্তকরবীতে পাত্রপাত্রীদের গান শিখিয়েছিলাম আমি—আতাউর রহমান, খালেদ খান, অপি করিম—সবাই ছিলেন। খালেদ খান তো খুবই ভালো গাইতেন।
৩. প্রিয় শিল্পী
অনুপ্রেরণার নাম কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিভিন্ন ঘরানার বিভিন্ন শিল্পীকে আমার ভালো লাগে। তবে অনুপ্রেরণার নাম বলতে গেলে অবশ্যই বলতে হবে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা। তিনি সরাসরি আমার গুরু ছিলেন। তবে এরও আগে থেকে ভক্ত–শ্রোতা হিসেবে তাঁর গুণমুগ্ধ ছিলাম আমি। আমার প্রিয় শিল্পীকে, এককথায় উত্তর দেওয়া কঠিন। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি সুবিনয় রায়, নীলিমা সেনও আমার প্রিয়। তবে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাত্রী হওয়ার সুবাদে তাঁর সঙ্গে আমার অজস্র স্মৃতি। বাংলাদেশ থেকে পড়তে যাওয়ার সুবাদে ছোট ক্লাসে থাকতেই তাঁর কাছে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম।

৪. প্রিয় চলচ্চিত্র
পথের পাঁচালী আর মেঘে ঢাকা তারা।
আমার প্রিয় চলচ্চিত্র অনেক। তবে খুব খুব প্রিয় সিনেমার নাম বললে দুটি সিনেমার নাম বলতেই হবে—সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালী আর ঋত্বিক ঘটকের মেঘে ঢাকা তারা। শুধু ভালো মানের চলচ্চিত্র বলে নয়, এ সিনেমাগুলো দেখার গল্পের সঙ্গে আমার আবেগও জড়িয়ে আছে।

৫. প্রিয় ভ্রমণস্থান
দেশের ভেতরে সুন্দরবন।
দেশের ভেতর সুন্দরবন আমার সবচেয়ে প্রিয় ভ্রমণস্থান। সুযোগ পেলে বারবার সেখানে যেতে চাই। আর দেশের বাইরে কানাডা রকি মাউন্ট ঘুরতে খুব ভালো লেগেছে। গন্ডোলা দিয়ে পার হতাম। অদ্ভুত এক আবহ তৈরি হয়েছিল! ২০১০ সালে গিয়েছিলাম। তখন থেকেই মনে হয়, ভূস্বর্গ বলে কিছু থাকলে রকি মাউনটেনের গন্ডোলা হলো সেই ভূস্বর্গ।

পাঠকের মন্তব্য Login Registration