শিল্পকলায় চীনা নববর্ষ উদযাপন

প্রতিনিধি | শিল্পকলা

শনিবার ১৯ জানুয়ারী ২০১৯|১৫:৫৫:১৮ মি.



রাহাত সাইফুল  

চীনাদের জন্য চীনা নববর্ষ গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী উৎসব। চার হাজার বছরের প্রাচীন উৎসবটি বসন্ত উৎসব নামেও পরিচিত। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল চীনা নববর্ষ। চীনা সংস্কৃতির প্রকাশ হিসেবে চীনা নববর্ষ বিশ্বব্যাপী একটি আলাদা মঞ্চে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর বিশ্বের ১৩০টি দেশের ৪০০ শহরে এই উৎসব পালিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ‘চীনা নববর্ষ ২০১৯’- এর উদ্বোধনী করা হয়।

এ আয়োজন করেছে বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসসহ চীনের ইউনান প্রদেশের সংস্কৃতি এবং পর্যটন বিভাগ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী কেন্দ্র। এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত মিস্টার ঝ্যাং ঝু, বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি সচিব রোকসানা মালেক।

এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত মিস্টার ঝ্যাং ঝু বলেন, ‘চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে থাকা চীনের নাগরিক আর বাংলাদেশের জনগণকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। আমি ইউনান শিল্প দলকে স্বাগত জানাই, যারা বহুদূর ভ্রমণ করে এদেশে এসেছে। বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং অন্য যেসকল বন্ধুরা আমাদের এই অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করেছেন এবং ইউনান শিল্প দলকে আতিথেয়তা প্রদান করেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘‘চীনা লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে এর দৃঢ় আবেগী বন্ধন রয়েছে। চীনা চিরায়ত সংস্কৃতিরও এটি উজ্জলতম উদাহরণ। চীনা একটি প্রবাদে বলা হয়েছে, ‘একটি ভালো বছর একটি ভালো বসন্তের শুরুর উপর নির্ভরশীল।’ নতুন বছর মানে নতুন শুরু। নতুন বছর মানে নতুর আশার সঞ্চার হওয়া। ভালো বসন্ত এবং ভালো জীবনের জন্য মানুষের আকাঙ্ক্ষা দেশ, জাতি এবং জাতীয়তায় সীমাবদ্ধ থাকে না। চীনা সংস্কৃতির প্রকাশ হিসেবে চীনা নববর্ষ সারা বিশ্বব্যাপী একটি আলাদা মঞ্চে পরিণত হয়েছে।’’

সংস্কৃতি সচিব রোকসানা মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশ চীন মৈত্রীর বন্ধন আরো শক্তিশালী হলো। জনগণের বন্ধুত্বই রাষ্ট্রীয় মিত্রতার মূল চাবিকাঠি। সাংস্কৃতিক সম্পর্কের মাধ্যমেই চীন এবং বাংলাদেশের বন্ধুত্ব আরো সুদৃঢ় হবে।’

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সেনাবাহিনী ও কূটনৈতিক কর্মকর্তারা। এ সময় তারা ইউনান এথনিক ভিলেজ পালাটিউ আর্ট ট্রুপ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক দলের একটি যৌথ পরিবেশনা উপভোগ করেন। এছাড়া ইউনান প্রদেশের সাংস্কৃতিক সামগ্রির প্রদর্শনী এবং একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। তা ছাড়া পরিবেশিত হয় দুই ঘণ্টাব্যাপী মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশে চীনা নববর্ষ উদযাপনে চীনা দূতাবাস নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোতে এটি পর্যায়ক্রমে আয়োজন করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সিনেমা উৎসব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহ্যবাহী চীনা পোশাক প্রদর্শনী এবং কক্সবাজারে ঘুরি উৎসব।

পাঠকের মন্তব্য Login Registration