সৃজনবাংলা ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলা লোকসাহিত্যের অমর কীর্তি মৈমনসিংহ গীতিকার প্রকাশ, বিতরণ ও এর অন্ত:স্থ সাহিত্য- সংস্কৃতিকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য ফোরাম নেতৃবৃন্দকে আরও তৎপর হতে হবে।
তিনি বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহের তথা বাংলার লোকসংস্কৃতি জাতীয় গন্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিকতায় পৌছেছে। এখানকার লোকসংস্কৃতির গৌরবময় ইতিহাস, গবেষণার বিপুল তথ্য সম্ভার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক লোকসংস্কৃতি অনুরাগীদের আকর্ষিত করে।
গতকাল (৫ অক্টোবর) ঢাকায় খিলক্ষেত বাগানবাড়ীতে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের প্রকল্প আন্তর্জাতিক লোকসংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ঢাকা কার্যালয় উদ্বোধন অন্ষ্ঠুানে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সবুজ কলি সেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সাবেক সভাপতি ম হামিদ, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী সভাপতি ইসতিয়াক হোসেন দিদার, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান শেলী এবং দ্বীনেশ চন্দ্র সেনের প্রপৌত্রী অধ্যাপক দেব কল্যাণ সেন উপস্থিত ছিলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলা সাহিত্যে ময়মনসিংহ গীতিকার মতো বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ বৃহত্তর ময়মনসিংহের মানুষের গর্ব। ড. দীনেশ চন্দ্র সেনের এই অমর কীর্তি দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ১৮টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। মধ্যযুগের লোকপালা মহুয়া, মলুয়া, বীরঙ্গনা সখিনা কিংবা দেওয়ানা মদিনাসহ অসংখ্য পালাগান নিয়ে ময়মনসিংহ গীতিকা বাংলা লোক সাহিত্যের এক অফুরন্ত ভান্ডার। তিনি বাংলার লোক সাহিত্যকে বিশ^দরবারে ছড়িয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রফেসর ড. সবুজ কলি সেন, ভারতের বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব শরিফুজ্জামান লস্কর এবং অধ্যাপক দেব কল্যাণকে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।