মান্নান সৈয়দের নারী: জটিল নাকি হৃদয়ের রিনিঝিনি

প্রতিনিধি | সাহিত্য

রবিবার ২৬ মে ২০১৯|১৫:৫২:৪২ মি.


মনসুর আজিজ

আবদুল মান্নান সৈয়দ পরাবাস্তব কবি। বহুবর্ণিল মাছ সাঁতার কাটে কবিতার নদীতে। রঙিন পাখনা মেলে মেতে ওঠে জলের জামা খুলে। সাঁতরায় নদীর এমাথা ওমাথা। কিন্তু প্রেমের ক্ষেত্রে তো কোন ছলনা চলে না। মান্নান এখন বুঝতে পেরেছেন খৈয়ামের মতোই। সৈয়দ তো বলেছেন―‘আমার কবিতা স্ফিংসের মতো দুর্বোধ্য’। স্ফিংস বুঝতে হলে গ্রীক নাটক পড়তে হবে। সফোক্লিসের ইডিপাস পড়তে হবে। কিংবা তিনি যখন বয়ান করেন―‘না,  জোৎস্না  হয় জল্লাদের ডিমের মতো চুলহীন জলবায়ুহীন মুন্ডু’। কিন্তু সেই মান্নান যখন কোন রাখঢাক না করে ঘোষণা করেন―
‘বিয়ে করেছি হঠাৎ
এ মেয়ে কোত্থেকে এলো-একে তো চিনি না, 
এক ঘরে বসবাস করি-একে তো চিনি না, 
একটি পালঙে শুই বসে-তবু তো চিনি না।’ 
(দুর্বোধ্যতা/পার্কস্ট্রিটে একরাত্রি)

কবিতার নাম দুর্বোধ্যতা হলেও অত্যন্ত সহজ সরল করে বিয়ের কথাটি বলেছেন পাঠককে। গোটা জীবন নারীর সাথে কাটিয়েও তাকে চেনা যায় না। তার ভূগোলের সবটুকু জানা হয় না কোন প্রেমিকের। কিন্তু জানার আগ্রহের কমতি কখনো থাকে না। তাই তার আক্ষেপ ফুটে উঠেছে ‘কুসুম কুসুম’ কবিতায়―
‘এ জীবনে নারী হৃদয়ের সূর্যাস্ত দেখার সাধ রয়ে গেলো হায়।’
এই আফসোসের আক্ষেপের আলোচনা চলে টেবিলে। রিনাকে দেখার আগ্রহও কবির ভেতরে সানাইয়ের সুর তোলে―
‘-মিসেস ফারহানা নাকি যত্রতত্র শোয় আজকাল।
-অমুক কী লেখে! হো হো হাসি, ঘেন্না, বিদ্রুপ, চিৎকার!
পা মাথা টলছে, দেয়ালের দিগন্ত কাঁপছে, রিনা, 
কতোকাল তোমাকে দেখি না, 
তোমার অভাবে নড়ে গেলো এই সম্ভাব্য সনেটও, 
অজস্র গোলাপগুচ্ছ একদিন ভরেছিলো উঠোন, 
(সোনালী গেলাশ/পার্কস্ট্রিটে একরাত্রি) 

এখানে ফারহানার প্রতি কবির ঘৃণা স্পষ্ট আর রীনার প্রতি কবির আগ্রহ, প্রতীক্ষা যেন হাজার বছরের। এখানেই তাঁর রুচির প্রকাশ। তার প্রত্যশা- ‘মাড়িয়ে গোলাপ-চারা দাঁড়িয়েছো আমার জানালা ধরে’। কিন্তু যারা শরীর সর্বস্ব তাদের প্রতি সৈয়দের আগ্রহ নেই মোটেও― 

‘শরীর সর্বস্ব ওরা, বস্তুর মাতাল 
অসম্ভব লোকে দেয় অলীক উড়াল―’

নারীর উপমা তাঁর কবিতায় বিস্তর না হলেও উল্লেখযোগ্য। উপমার নতুনত্বেও মান্নান সৈয়দের স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের পরিচয় পাওয়া যায়। 

‘আঙটির মতো ঠোঁট-গোল করা এতোটুকু মেয়ে,
কুকি রমণীর নৃত্যে খুলে দেওয়া হিরণ দরোজা’

কিংবা সূর্যাস্তের মতো রাঙা বেশ্যা/ নীল জানালার পাটাতনে বসে আয়না দেখছে।’ 
(লণ্ঠন/জোৎস্না রৌদ্রের চিকিৎসা) 

সুখের সন্ধানে অচেনা মাছের মতো পর্যটন কবির। ‘পাখির জীবন করা রৌদ্রে-বাতাসে-হেমন্তে-সোনার বানানো চাদরের ভিতর দিয়ে খুঁজেছেন।' হেঁটে চলা ‘রামধনু দিয়ে তৈরি ব্রীজের তলা দিয়ে’। সুখের সান্নিধ্য পেতে কঞ্চির উপর মাছরাঙার ছদ্মবেশ পরে বসে আছেন। কিন্তু সেতো সর্বনাশ! পরে বলেন―
‘সুখ আমার কেউ নয় 
নারী কেউ নয় 
আমি সুখকে দেখি জলজ লতাজালে জড়িয়ে আছে 
পাড়াগাঁর কোন বৌ-এর জলমগ্ন গয়না ভরা রূপোর বাকশোর মতো 
নারী জলতলে শুয়ে আছে দ্বিতীয় চাঁদের মতো...।’ 

এই তো সুখ, একটি দৃশ্য, সুরমা আঁকা চোখের দিকে তাকিয়ে চলে যায় ক্ষণ। বিমূর্ত প্রহর। মান্নান সৈয়দ জলমগ্ন গয়না ভরা পাড়াগাঁর এই বৌকে দেখেই সুখী। আল মাহমুদ এরকম নারীর নাভীমূলে ভরত পাখির মতো ঢুকে যেতে চেয়েছেন। এই নারীর খোঁজে জীবনানন্দ বলেছেন-‘হাজার বছর ধরে পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে।’ নজরুল পরাতে চেয়েছেন তার গলে ‘তারার ফুল’ রবীন্দ্রনাথ হয়তো তার উদ্দেশ্যেই বলেছেন- দুয়ার খুলি হে প্রিয়তমা,/ চাই যে বারে বার।’

জন সরকারের বোন আইভী সরকারকে কবির মনে পড়ে যায়। কিশোর নস্টালজিয়া মানুষকে আগ্রহী, হতাশ, আলোড়িত আবেগী করে বেশি। যার কারণে কলকাতায় বসেও কিশোরবেলার সেই স্মৃতিটি ভুলতে পারেন না কবি। 
‘তার বোন আইভী সরকার পরিস্কার কাচের গেলাশে
পানি খেতে দিয়েছিলো একদিন ওদের বাড়িতে
সে এখনো বেঁচে আছে কিনা জানি না।’ 

শুধু ‘নারী’ বিষয়েই রয়েছে আবদুল মান্নান সৈয়দের একাধিক কবিতা। সেখানে নারীর হৃদয়, স্তন, শ্রোণীর সঙ্গমে নতুন এক নারী জেগে ওঠে পুরুষের অন্তর্লোকে। নারীকে নতুন উপমায় সজ্জিত করে তোলেন। 
‘তুমি কৃষ্ণ মেঘ মেঘালিতে সাঁতারু হাঁসের মতো।’ (নারী-৩) 
‘নারীকে রাস্তার মতো ব্যবহার করে, 
রাস্তাকে স্রোতের মতো- 
আমি পারিনি উপমাহীন ব্যস্ত ‘ব্যবহার।’ (নারী-৪) 
নারীকে মহীয়ান করে বলেছেন―‘তুমি স্বর্গবিজয়ের তরবারী।’ 
আবার বলেছেন―‘তোমার ভিতরে আমি পেয়েছি স্বর্গের মধু
নরকের তিতকুটে স্বাদ।’ (নারী-৭) 
নারীর প্রশংসা আর কবির আবেগ সঞ্চারিত হতে হতে নারী শব্দের উপস্থাপন দেখি এভাবে― 
‘নারীসুর্য, নারীচাঁদ, নারীপৃথিবীর শেষে 
অন্তিম জলের স্রোতে নাভি অব্দি ডুবিয়ে রেখে দাঁড়িয়ে থাকবে তুমি―
চন্দ্র সূর্য অস্ত যাবে তোমার যুগল স্তনে, 
শ্রোণীতে পৃথিবী।’ 
এখানেই শেষ নয়। যেই কবি বলেন- 
‘একটি পাখির সিল্কের ফিতের মতো কণ্ঠস্বর
তার ছোট পাৎলা ঠোঁটে রাজদন্ডের মতো ধরে আছে আমার স্বপ্নের এ্যানটেনা।’
অথচ নারীর প্রতি তার সহজ নিবেদন-
‘তোমার ঠোঁটের মধ্যে, নারী, 
ধরে আছো আত্মা আমার।’

মান্নান সৈয়দ মাছকে তুলে ধরেছেন লাল-নীল-হলুদ-সবুজ রঙে। এই রঙের খেলা তার বিভিন্ন কবিতায় এসেছে ভিন্ন ভিন্ন অনুষঙ্গে। নারীর অঙ্গেও ঢেলেছেন রঙের কৌটা। তুলির আঁচড়ে অবয়বে এনেছেন নতুন মাত্রা―

‘তোমার চোখের রঙ নীল,
হৃদয় সবুজ, 
স্বপ্ন লাল, 
আকাঙ্খা খয়েরি, 
হতাশা পাটল, 
বেদনা হলুদ 
আনন্দ ফিরোজা 
আমি হতভম্ব-লাল, আমি অর্ধমৃত-নীল, আমি মূর্ছিত-সবুজ।’ (নারী-১৫)

কবি স্বপ্নে হতভম্ব হয়ে যান, চুলের গন্ধে দীর্ঘশ্বাস নিতে নিতে অর্ধমৃত, আর নারী হৃদয়ে স্থান নিতে পারলে হয়ে যান মুর্ছিত। 
মান্নানের নারী বলিষ্ঠ। তারও কাম আছে, আছে চুম্বনের উষ্ণতা। শৃংগার রসের মিশ্রণে মান্নান সৈয়দ তার প্রেমকে পূর্ণিমায় পৌঁছে দেন। কামকলায় দেহের ভিতর রুয়ে দেন সম্ভাব্য আগামী।

‘শাড়ি ব্লাউজ, ব্রা, সায়া, প্যান্টি স্তূপাকার হয়ে আছে
পালঙের এক কোণায়; 
দক্ষিণে আষাঢ় মেঘ-এখানে সম্পূর্ণ চাঁদ।’ 
এই প্রস্তুতি পর্ব শেষে দেখি জৈবিক পরিণতি- 
‘বইয়ের পৃষ্ঠার মতো খুলে গেলো দু’উরু তোমার-
জ্বলে গেলো কলকাতার চোখ!
এমন ভঙ্গিতে তুমি পা মুড়ে রেখেছো―
চাঁদের রশ্মির তক্তা ধরে আমি ভেসে থাকি প্রাণপণ!
আমাদের পটভূমি ধুলো 
তুমি তার উজ্জ্বলন্ত তারা!
তোমার চুলের নদী ধরে 
নৌকা বেয়ে চলে যবো ইন্দ্রের সভায়!’
(পার্কস্ট্রিটে একরাত্রি) 

যুগল স্তনের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে- 
‘এ তো নয় নিছক যুগল স্তন―
এ তো এক ঝলক হরিণের শিঙ জীবনের অরণ্যের ফাঁকে 
এ তো বসন্তের থানায় নিটোল পুরো ডাঁশা দুটি ফল 
এ তো এক-আকাশে দুটি সূর্যের জলপ্রপাত।’
(পার্কস্ট্রিটে একরাত্রি) 

‘আশাকে আনগ্ন জানা আছে,/ ওর বড় বোন আকাঙ্খাকেও একদিন জেনেছিলাম,/ দুজনার তুলনামূলক স্তন আমার অজ্ঞাত নয়/ তবু যেন ওদেরই বর্ণনা দিতে গিয়ে লক্ষ বছর পরে উঠে বসলাম বিছানায়?’ 
(কলকাতা-১৯৮২) 

‘আকাঙ্খার ভিতরে খোড়ল যোানির চেয়েও সুগভীর’ (কলকাতা- ১৯৮২, ১)
আকাঙ্খার গভীরতা যেমন দেখা যায় না নারীদেহের যোনির গভীরতা পরিমাপ করাও বোকামী। তীব্র সুখের ভিতরই এর পরিমাপ।
মান্নান নারীহৃদয় ও  নারীদেহকে বাজিয়ে দেখতে চেয়েছেন।  কখনো রাখঢাক করে কখনো উন্মোচনে। 

‘এসো, পাথরে হাতুড়ি! স্তনে এসো মুঠো। 
আকাশে চক্কর দাও তিনটি পায়রা― 
বলোঃ কলকাতার ধোয়াটে আমরা মিথ্যা নই, 
মিথ্যা নয় ঐ এগারো তলায় নিচে ঘিনঘিনে কুষ্ঠরোগীর চোখে 
চিনির মত এ সাদা উরু রমণীর প্রতি বাসনার টান।’
(কলকাতা- ১৯৮২, ৫)

কুষ্ঠরোগী মরণ যন্ত্রণায় ছটফট করলেও সুন্দরী রমণীর শাদা উরুর প্রতি চোখ যায় এগারতলার উপরে। দেহ অবশ হলেও দৃষ্টি আকাঙ্খিত। ডানা মেলে পায়রার মতো উড়তে চায় মন।

সঙ্গমের আকাঙ্খার তীব্রতা পুরুষ মাত্রই বোঝে। প্রেমের পরই প্রণয়। প্রণয়ের তীব্রতায় কখনো পুরুষ হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে। তখনই কবিকে বলতে শুনি― 
‘দিগন্ত বিস্তারি খরায় কলকাতা আর আমার আত্মার মাটি চাকনাচুর হয়ে আছে। ও আকাশ, খরার বিপুল পাগলামির ওপর আনো অবিরাম বৃষ্টির জ্যামিতি! হানো অবিরল শিশ্ন-সরল রেখা নারী ত্রিভুজের উপর, নারী বলয়ের উপর। ওগো বৃষ্টি, গলিয়ে দাও দিগন্ত আর মেট্রো রেলোয়ের লোহা!’
(কলকাতা ১৯৮২, ১১) 

‘বাহুবন্ধন ও ঊরুবন্ধন’, কবিতার প্রতিটি লাইনই নারী পুরুষের প্রেম-কাম-ঘামে পরিপূর্ণ। শৃংগার রসের আধার যেন কবিতাটি। ছন্দোবদ্ধ কবিতাটি উদ্ধৃত হলো―

‘রক্তে আবার অগ্নি জ্বলেছে, বেজেছে ঘোড়ায় চিহি, 
সাত সাগরের তরঙ্গ ডাকে দুয়ার ভেঙেছে গৃহী। 
সবচেয়ে বড়ো বিস্ময় আনে শিশ্নের উচ্ছ্রিতি 
তোলপাড় আর আকুল করেছে শরীরের সামগীতি। 
শুধু জেগে আছে মানুষ মানুষী স্নায়ুর ঝনন রণন, 
ওগো বাহুবন্ধন! 

কাকাতুয়া আর টিয়ে পাখিদের কেবলি স্বনন-ক্বণন, 
ওগো উরুবন্ধন!
... ..................
পদ্মা মিশেছে মেঘনার সাথে বিশাল শ্রোণীর মোহনা,
দিন চলো মিশি রাত্রির গায়ে সুখের সঙ্গে বেদনা।
রতি তৃপ্তির অন্তে আবার বিষাদে ভরেছে মন,
        ওগো বাহুবন্ধন!
শান্তি তাহলে ক্ষণিকের শুধু জ্বলাই সারাক্ষণ?
        ওগো ঊরুবন্ধন!’

মান্নান সৈয়দ তার কবিতার প্রেমকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। প্রেমের অনুষঙ্গ হিসেবে চুলকে এনেছেন। চোখ, নিতম্ব, গ্রীবা, চুম্বন, শ্রোণীর উপস্থাপন রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে। চুম্বনের ব্যবহার এসেছে- 
‘ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো পর্বতের ভিত। 
তোমার চুমোর দামে কিনবো তারার টিকিট।’
(তুমি) 

কিংবা 
‘স্নান করে করে তোমার স্বগত চুমোর আঝোর নির্ঝরে 
ভুলবো আমি এক লহমায় ভর করেছিলো অনন্ত?’

কামে ঘামে স্নানে পবিত্র মন যেন চুম্বনের প্রশান্তিতে মুহ্যমান। অনন্তের দিকে ধাবমান প্রশান্তি। দুপুরবেলা যৌবনের উন্মাতাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে সন্ধ্যায় নুুয়ে পরে স্তিমিত ঝড়ের মতো। বাস্তবতায় নিমজ্জিত হয় জীবন।
‘বাস্তবতা নিয়ে আজো খাই হিমশিম 
ঊনষাটেও দেখছি আজ কিছুই মেলে না; 
নিসর্গ রহস্যময়, নারী অপ্রবেশ্য; 
পৃথিবী আকাশে ঢাকা, মানুষ অচেনা।’
(বৃষ্টির কবলে) 

কিংবা 
শরীর ফুরিয়ে যায়, জেগে উঠে কবিতা অদম্য। 
শিশ্ন কাৎ, কিন্তু কাম অপ্রকাশ্য। 
শরীর ফুরিয়ে যায়, জেগে ওঠে কবিতা অদম্য 
..............
অপ্রাপ্য থাকুক নারী, তবু একমাত্র শিল্প 
থেকে যায় রমণ্য ও রম্য।’ 
(শরীর ফুরিয়ে যায়)

নারীর প্রতি বিগলিত কবি সারারাত প্রেম নিবেদন করে ভোরের শিউলিতলায় সমস্ত ফুল দিয়ে মালা গাঁথেন। পরিয়ে দেন নারীকে নয়; নারীর স্রষ্টাকে। তাই তার সমস্ত সত্তা নারীর স্রষ্টার প্রতি নতজানু হয়। তার সমস্ত উপলব্ধি সাধনার নদী থেকে দু’হাতে তুলে ধরে নারীকে বলেন―
‘নারী,
আমি শুধু, মুগ্ধ হতে পারি; 
তোমাকে নির্মাণ করতে পারে যে, সে কেবল ঈশ্বর। 
ছুঁয়েও তোমাকে আমি কিছুতে পাবো না, 
হে নগ্নিকা, হে সুন্দর।’
(নগ্নিকা) 

‘এক ঈশ্বর ছাড়া কে তোমাকে করবে দ্বিতীয় রচনা?’ তাই উপলব্ধির সাঁকোর সামনে দাঁড়িয়ে ‘একটি মেয়ের হেঁটে যাওয়া’ কবিতায় দেখি তার দৃঢ় উচ্চারণ―‘আমি সব কাজ ফেলে/দাঁড়িয়ে থাকবো ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ রহস্যের সন্ধানে।’

পাঠকের মন্তব্য Login Registration