জীবন খাতা-১৪

প্রতিনিধি | সাহিত্য

বৃহস্পতিবার ২ আগস্ট ২০১৮|১৮:২৮:৪২ মি.



এনাম আহমেদ
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল-কথাটি যাদুর বাবা ছোটবেলা থেকে বিশ্বাস করেন।কথাটি বলেছিলেন তাঁর বাবা। তাই তিনি প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটাহাঁটিও কিছু হালকা ব্যায়াম করেন।এতে কখনও তার সঙ্গী হয় যাদু। যাদুর বাবা প্রতিদিন সকালে ফজরের নামাজ পড়ে হাঁটতে বেরিয়ে পরেন।কখনো যাদু ঘুম থেকে উঠে নাগাল পেলে চোখ কচলাতে কচলাতে বাবার সাথে বেরিয়ে পরে। আজও টের পেয়ে যাদু বাবার সাথে বেরিয়ে পরলো। এতে বাবা খুব খুশি।

কেননা বাবা প্রায়ই বলেন, তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাও তাড়াতাড়ি জেগে ওঠো।এতে নাকি অনেক লাভ।যাদু ঠিক বুঝে উঠতে পারে না-এতে লাভটা কোথায়? বাবা এখনও তাকে খুলে বলেননি। তবুও গুরুজনদের কথা শুনতে হয়। তাই যাদুও রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে। অবশ্য মাঝে মাঝে দিনের বেলায় তার খেলাধূলা বা দুষ্টুমির মাত্রাটা একটু বেশি হলে, ক্লান্তিতে নিজে থেকেই ঘুমিয়ে পড়ে। সেদিন যাদু চেষ্টা করেও পড়ার টেবিলে চোখ খোলা রাখতে পারে না। বাবা তাড়াতাড়ি ঘুমানোর জন্য কী যেন একটা ইংলিশ বলেন-Early to bed & early to rise, makes ------------আরও কী যেন বলেন, যাদুর তা ঠিক মনে নেই। বড় হলে যাদুও বাবার মতো ইংলিশ বলবে। 
যাদু বাবার সাথে চলতে চলতে রাস্তার পাশের ছোট ছোট গাছপালা গুলোতে হাত বুলিয়ে দেয়। যাদুর বাবা দ্রুত হাঁটছেন, আর যাদু তাল মেলাতে গিয়ে দৌড়াচ্ছে।কিছু দূর যেতেই রাস্তার ধারে একটি বাঁশের বেড়া দেয়া ঘর।কাছাকাছি আসতেই ঘরের ভেতর থেকে একটা পুরুষ কন্ঠের গান ভেসে এলো
-আ আ মনোরে আল্লার রহমত পাইতে হইলে নারিকেল হইয়া যাও, 
নারিকেলের মইধ্যে পানি তাও আল্লার রহমত জানি;
মনোরে------
-আব্বা ওনি কী গাইছেন? ওনি কে?
-ও বাউল গান গাইছেন।ও রেজ্জাক পাগলা। 
-লোকটা পাগল? 
-না বাবা সত্যি সত্যি পাগল না। ভালো মানুষ। তুমি মাঝে মাঝে রেজ্জাকে রাস্তায় দেখনি, ঐ যে আমাদের বাসার সামনের রাস্তা থেকে রঙিন পাথর খুঁজে বের করে। আর হাতে একটা নারিকেলের মালাইয়ের পাত্র থাকে। আর এক হাতে থাকে একটা একতারা। 
-ও দেখেছি তো, উনি আমাকে অনেক আদর করেন।মজা করে কথা বলেন, গান শোনান।উনি খুব ভালো মানুুষ।

পাঠকের মন্তব্য Login Registration