শৈশবের ডাইনিরা

প্রতিনিধি | সাহিত্য

শনিবার ২১ জুলাই ২০১৮|১৮:৩৫:১৩ মি.



ফজলুল হক তুহিন

শৈশবের দিনগুলি আমার কেটেছে দাদির রহস্য গল্পের আসরে     
আমার চোখের পাতা পড়তো না কখনো রূপকথার  
বিস্ময় জাগানো সব চলচ্ছবি যখন সিনেমা হয়ে ভেসে উঠতো অদ্ভুত 
দেখতে পেতাম ডাইনির হাতের ভেতর থেকে বের হয়ে আসছে যাদুর 
ভয়াল পশুরা, আঁচলের মধ্যে থেকে হা হা হাসিতে হাজির
অতিকায় হিং¯্র দৈত্য-আমরা সবাই ভয়ে গুটিশুটি মেরে 
পরস্পর জড়াজড়ি করে থাকতাম 
তবু গল্পের শেষ না শুনে গল্পের হাট ভাঙতাম না কিছুতেই 
আমাদের খুশি সাঙ্গ হতো ডাইনি ও দৈত্যের বিনাশে 
সেই দাদি সেই গল্প আর সেই আসরের রূপরসগন্ধ আর নেই। 

ফিরে আসে না কিছুই 
তবু আবারও ফিরে এসেছে ডাইনি, ফিরে এসেছে দৈত্যের দিন
ডাইনির আঁচলের তলে নাক ডাকে রাক্ষসেরা, হুঙ্কারে কাঁপিয়ে তোলে চারদিক 
মাঝে মাঝে বের হয়ে আসে রক্তের তৃষ্ণায়
মুড়ি মুড়কির মতো গিলে খায় মানুষের দেহপ্রাণমন
ডাইনির হাতের যাদুতে হঠাৎ প্রকাশ পায় চিতাবাঘ
ঘাড় মটকে হালুম করে খেয়ে ফেলে নারীশিশুযুবা, ঘরবাড়ি, সবুজ বাগান
অতঃপর বের হয়ে আসে দাঁতাল শুয়োর 
ভালুক, শেয়াল, অজগর, কুকুর, কুমির, সিংহ

বসে বসে ভাবি মানুষের মতো দেখতে ডাইনি কীভাবে হয়
আচ্ছা, ডাইনির কী তবে আমাদের মতো আছে একটি হৃদয়?
অথবা কিচ্ছার মতো ডাইনির কী তবে কখনো ফুরোবে না সময়?

পাঠকের মন্তব্য Login Registration